এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশ

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী গণসংযোগের সময় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, তা জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার গভীর ষড়যন্ত্র ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতার নির্মম বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের হামলা কেবল একজন প্রার্থী বা দলের ওপর নয়— এটি সমগ্র জাতির গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা।
চট্টগ্রামবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি— ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ অস্ত্রধারী, হামলাকারী সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর ভয় পায় না। নির্যাতন, হামলা, গুম, মামলা দিয়েও বিএনপিকে স্তব্ধ করা যাবে না। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মুহাম্মদ নাজিমুর রহমান বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—নির্বাচনী মাঠে হামলা-হুমকি দিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। চট্টগ্রামের প্রতিটি নেতাকর্মী এখন আরও ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।
মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই হামলা নির্বাচন ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র, তবু আমরা ভয় পাই না। জনগণের আস্থা এবং সমর্থনে আমরা বিশ্বাসী—জনতার শক্তিতেই সন্ত্রাসবাদের পতন নিশ্চিত করব।
সমাবেশ শেষে জানানো হয় যে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সন্ত্রাসী হামলায় আহত নেতাকর্মীদের দ্রুত সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন মসজিদে একটি মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এসএম সাইফুল ইসলাম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, শাহ আলম, আরইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম রাসেল, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মহানগর বিএনপির সদস্য এসএম আবুল ফয়েজ, আবুল হাশেম, মুজিবুল হক, মোরশেদুল আলম, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশারফ হোসেন ডিপটি, একে খান, গাজী আইয়ুব, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মোহাম্মদ শাহেদ, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের বেলায়েত হোসেন বুলু, জমির উদ্দিন নাহিদ, ছাত্রদলের সাইফুল আলম, শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।